Monday, July 23, 2018

সাজেক ভ্যালী সম্পর্কে জানুন

সাজেক ভ্যালি বাংলাদেশের একটি উদীয়মান পর্যটন কেন্দ্র, যা রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সজকে ইউনিয়নের পাহাড়ছড়ি পাহাড়ের কাসালং পর্বতমালার মধ্যে অবস্থিত ।  যার উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৮০০ ফুট উপরে। সাজেক পাহাড়ের রানী এবং রাঙ্গামাটির ছাদ বলা হয়।
ভোজবাড়ি পার্ক সাজেক ভ্যালী 

সাজেক ভ্যালির নাম সাজেক নদী থেকে এসেছিল, যা কর্ণফুলী নদীর উৎপত্তি। সাজেক নদী বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সীমান্তের মত কাজ করে।

সাজেক ভ্যালী তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। পাহাড়, ঘন বন, ঘাসফুল পর্বত ঝিরি দ্বারা পরিবেষ্টিত। পর্বতমালার মধ্য দিয়ে অনেক ছোট নদী প্রবাহিত হয় যার মধ্যে কাচালং এবং মাচালং উল্লেখযোগ্য। সাজেক ভ্যালী যাওয়ার পথে এক মায়ানি সীমা ও ময়নি নদী অতিক্রম করতে হয়েছে। সাজেকের  রাস্তাটি উচু উচু পাহাড় দিয়ে অতিক্রম করে এবং পাহাড় গুলো রাস্তার মধ্যমে একটি আরেকটির সাথে মিলিত হয়েছে ।
সাজেক যাওয়ার পথে

সাজেক ভ্যালীর স্থানীয় মানুষ জাতিগত সংখ্যালঘু। তাদের মধ্যে চাকমা , মারমা , ত্রিপুরা , পঙ্কুয়া , লুশাই এবং সগম উল্লেখযোগ্য। নারীরা এখানে অর্থনৈতিক কার্যক্রম জড়িত এবং নারীরাই পরিবারের প্রধান। চায়ের দোকান, খাদ্য সংমিশ্রণ এবং রাস্তাঘাটের বাজারগুলি মহিলাদের দ্বারা পপরিচালিত হয়। সাধারণ মানুষগুলো স্বাগতিক এবং বন্ধুসুলভ । সকালের প্রথম দিকে ফল ও সবজি তোলা এখানে একটি প্রধান বাণিজ্য। তারা বাংলা ভাষাকে অবহেলা করেনা কিন্তু তরুণরা আত্মবিশ্বাসীভাবে ইংরেজিতে কথা বলে।
 ভোরের সাজেক 

অনেকদিন ধরেই সাজেক পর্যটকদের জন্য অপেক্ষিত ছিল এবং  সম্প্রতি এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের মন জয় করে নেয় এবং পর্যটন স্পট হিসাবে আবির্ভূত হয়। স্থানটিতে আধুনিক পর্যটক সুবিধা নেই কিন্তু পর্যটকরা বেশিরভাগ জায়গাটির প্রকৃতি ও সংস্কৃতি উপভোগ করে। যদিও সাজেক ভ্যালি রাঙ্গামাটিতে অবস্থিত কিন্তু পর্যটকদের জন্য সহজ রাস্তাটি খাগড়াছড়ি থেকে , দীঘিনালা বাজার, বাগাইহাট বাজার এবং মাচালং হাটের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়। প্রধান পরিবহন চাঁদার গারি, যা চার চাকা জীপের মত। পর্যটকরা ইঞ্জিনের জাহাজ দ্বারা রাঙ্গামাটি থেকে সাজেকে যেতে পারেন। যে রুট ৫-৬ ঘন্টা লাগে।

সাজেক সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য: 

সাজেকে ম্যালেরিয়া মশার উপদ্রব রয়েছে। তাই, মশা প্রতিরোধক ব্যবস্থা সাথে অবশ্যই সাথে রাখতে হবে। যেহেতু সাজেক একটি রিমোট এরিয়া সেখানে পানির সংকট রয়েছে তাই পানি ব্যবহার করার বেপারে খুবই সচেতন হতে হবে । সাজেকে প্রতিলিটার পানি কিনে ব্যবহার করতে হয়।
একটি রিমোট এরিয়া সেখানে তাই সেখানে বিদ্যুৎ নেই। সন্ধা থেকে ১০ টা পর্যন্ত পাবেন জেনারেটর সুবিধা। তাই মোবাইল চার্জ এর জন্য পাওয়ার ব্যাংক নিয়ে নিতে হবে। রবি আর এয়ারটেল ছাড়া অন্য অপারেটর এর নেটওয়ার্ক পায় না।

ভিমরুলি ভাসমান পেয়ারা বাজার ভ্রমন কাহিনী

ভিমরুলি ভাসমান বাজার


ভিমরুলির আশপাশের সব গ্রামেই অসংখ্য পেয়ারা বাগান। তাদের এ পেয়ারা বিক্রির জন্য বিখ্যাত ভিমরুলি ভাসমান পেয়ারা বাজার।

১৯৬২ সাল থেকে এর গোড়াপতন হলেও মুক্তিযুদ্ধের সময় এই বাজারটি জমে ওঠে  আসেপাশের সব বড় বাজারগুলো জখন পাকিস্তানিরা জ্বালিয়ে দেয় তখন এই বাজারটি জমে ওঠে।
ঝালকাঠি, বরিশাল আর পিরোজপুরের সীমান্তবর্তী এলাকার ২৬ গ্রামের প্রায় ৩১ হাজার একর জমির উপর গড়ে ওঠেছে পেয়ারা বাগান। আর এই পেয়ারা চাষের সঙ্গে প্রায় ২০ হাজার পরিবার সরাসরি জড়িত।
ঝালকাঠী জেলা শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে ভিমরুলি গ্রামের আঁকাবাঁকা ছোট্ট খালজুড়ে সপ্তাহের প্রতিদিনই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বেচাকেনা চলে। হাটটি সারা বছর বসলেও প্রাণ ফিরে পায় পেয়ারা মৌসুমে৷
ভিমরুলি হাট খালের একটি মোহনায় বসে। তিন দিক থেকে তিনটি খাল এসে মিশেছে এখানে। এই বাজারে পেয়ারা ছাড়াও নানারকম  সবজি ও ফল বেচাকেনা হয়।
ভিমরুলি ভাসমান পেয়ারা বাজার

ভ্রমন বিস্তারিতঃ
১৯ জুলাই বিকালে চলে যাই সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে। বরিশালের লঞ্চ যদিও রাত ৯ টার পর ছাড়ে তবুও ডেকে সবার জন্য যায়গা নিতে হবে তাই কয়েক ঘন্টা আগেই যেতো হলো। খুব ইচ্ছা ছিলো নতুন লঞ্চ এ্যাডভেঞ্চার -৯ এ উঠার তাই দেরি না করে সরাসরি উঠে গেলাম এ্যাডভেঞ্চার -৯ এ। ১ম তলা বাদ দিয়ে চলে গেলাম ২য় তলায় সেখানে একে বারে সামনের দিকে যায়গা না পাওয়ায় পেছনের দিকে যায়গা নিতে হলো সবার জন্য। নতুন এই লঞ্চে ডেকের ভাড়া ২০০ টাকা। এসি ক্যাবিন ডাবল বেড ২০০০/- সিংগেল বেড ৯০০/১০০০। ৯ টা বাজতেই একে একে সব লঞ্চ ছাড়লেও এডভেঞ্চার-৯ তখনও ছাড়েনি। যানতে পারলাম এই লঞ্চ সবার শেষে ছাড়ে ৯ঃ৩০ এ।
    এডভেঞ্চার-৯ 

কিন্ত না রাত যখন ঠিক ১০ টা তখন আমাদের লঞ্চ ছাড়লো। আমরা সবাই একই সাথে ডেকে যাচ্ছি। সবাই রাতে গরমের কারনে ডেক ছেড়ে চলে গেলো ছাদে। ব্যাগ আর মোবাইল পাহাড়ার জন্য রয়েগেলাম আমি আর Ashraful Alam Mithu ভাই। দুই ভাই একটু বাতাস খেতে খেতে গল্প করার জন্য লঞ্চের কিনারায় গেলাম। হটাৎ বৃষ্টির ঝাপটা গায়ে লাগলো। কিছু খনের মধ্যে দেখলাম ছাদ থেকে সবাই তরিঘরি করে নামছে। মুহুর্তেই সবাই ডেকে ফিরে আসলো। এবার আমরা কজন চলে গেলাম লঞ্চের সামনে দোতলায়। বজ্রপাত হচ্ছে দূরে। সেই এক দৃশ্য মাঝে মধ্যেই বজ্রপাতের কারনে অন্ধকার নদী জ্বলে উঠছে যেন। হঠাৎ চোখে পরলো আমাদের আগে ছেড়ে যাওয়া পারাবত ১২ লঞ্চ টিকে এডভেঞ্চার ৯ ওভারটেক করছে। পানিতে দেখতে থাকলাম গতীর খেলা। একে একে কীর্তনখোলা-২, সুন্দরবন-১১ সবাইকে ওভারটেক করে এডভেঞ্চার-৯ এগিয়ে যাচ্ছে।
সকাল ৪ টা বাজতেই গার্ডেরা বাশিবাজিয়ে সবাইকে উঠিয়ে দিলো। আমরা বরিশালে চলে এসছি। সবাইকে লঞ্চে রেখে চলে এলাম টার্মিনালের বাইরে গাড়ি ঠিক করার জন্য। টার্মিনালের বাইরে মাহেন্দ্র গুলোর ভাড়া শুনে খটাক লাগলো। তাই পানি কিনতে গিয়ে এক চাচার কাছে বাস স্ট্যান্ড এর বেপারে যানতে পারলাম। এরপর সবাই বের হয় ঘাট থেকে।
 টার্মিনাল থেকে ব্যাটারি চালিত অটোতে চলে গেলাম নতুল্যা বাজার বাস স্ট্যান্ড ভাড়া জনপ্রতি ১৫ টাকা নিলো। যদিও স্থানিও দোকান্দার চাচা বলে ছিলো ১০ টাকা ভাড়া।  ১০ মিনিটে পৌছে গেলাম সেখানে। নেমে সবাই নাস্তা করলো বাস স্ট্যান্ড এ। ঝালকাঠি, পিরোজপুর এর বাসগুলো এখান থেকে ছাড়ে। আমরা ঝালকাঠি গামী একটি বাসে উঠলাম নামবো বানারিপারা বাস স্ট্যান্ড, ভাড়া ৩০ টাকা। বাস ছাড়লো সময়মতই ৬ঃ৪৫ এ।
যাবার পথেই দেখতে পেলাম দুর্গার সাগর আর গুঠিয়া মসজিদ। প্রায় ৩০ মিনিট পর নামলাম বানারিপারায়।


 বাস স্ট্যান্ড থেকে রিকসা করে চলে গেলাম ফেরিঘাটে ভাড়া ১৫ টাকা। ফেরিঘাটে চললো ট্রলার ভাড়া করার প্রতিযোগিতা। অবশেষে একটি মাঝারি ট্রলার নিলাম। দামাদামি হলো না মাঝি মুরব্বি বললেন যা দেওয়ার পরে দিতে তার দাবি নেই। পরে অবশ্য তাকে ১২০০ টাকা দেয়া হয়ে ছিলো।


আমরা যাচ্ছি সন্ধা নদী দিয়ে আঘর ভিমরুলি বাজার। অনেকটা নদী পেরিয়ে খাল চার পাশে সবুজের সমারোহ। দুই পাশে নদী এলাকার মানুষগুলোর ঘর বারি আর বিভিন্ন গাছ। কখনো পানের বরত কখনো আমরা বাগান।আবার কখনো চোখে পরে চালতা সহ বিভিন্ন ফলের গাছ। নয়টা বাজেনি আমরা চলেলাম কুরিয়ানা পেয়ারা বানাগানে। বাগানে মালিক পেয়ারা পারছিলো হাটে যাবার জন্য। আমাদের সবাইকে সে পেয়ারা খাওয়ালো।


আমরাও সৌজন্য বোধে তার কাছ থেকে ৮/১০ কেজির মত পেয়ারা কিনে নিলাম দাম রাখলো ১৫০ টাকা। বাগানে ঘুরে এবার আমরা যাচ্ছি ভিমরুলি ভাসমান পেয়ারার বাজারের দিকে। সময় সকাল ৯ টা চলে এলাম ভিমরুলি বাজার। বাজারে নেমে সবাই ঘুরা ঘুরি করছে। কেউ কিনছে পান কেউ আমরুজ আবার কেউ কিনছে বিশাল আকৃতির লেবু। সবই ফ্রেস জিনিস বিন্দু মাত্র ভেজাল নেই। বাজার ঘুরলাম এখন যাবো কুরিয়ানা নৌকার বাজার দেখতে।
ট্রলার বেশি বড় না হওয়া সব খানেই অনায়াসেই যাওয়া যাচ্ছে। কুরিয়ানা নৌকা ঘাটে ব্র্যান্ড নিউ নৌকা সাজানো দাম ৩ থেকে ৫০০০ টাকা। এগুলো কিনবে পেয়ারা বিক্রেতারা। কুরিয়ানায় একটি ঘাটে ট্রলার ভেরানো হলো উদ্দেশ্য পানিতে গোসল করা। মহিলা আর বাচ্চারা বাদে সবাই নেমে গেলাম পানিতে খালের ওপারে স্কুল মাঠে কিছু ছেলে রা  ফুবল খেলছে সাতরে ওপারে গিয়ে সবাই নেমে গেলো তাদের সাথে ফুটবল খেলতে। নিজে না নেমে খেলা উপভোগ করলাম। খেলা জমলো খুব। যদিয়ো ছেলে পুলের কাছে হারলো আমাদের ভাই দল। খেলা ও গোসল শেষে আমরা ফিরলাম আবার বানরিপারা ঘাটে। দুপুর ১ঃ৪৫ মিনিট। বানরিপাড়া ঘাটে নেমে আগে খাওয়াদাওয়া। গরম আর খুধায়  খেলোয়ার ও  পানিতে নামা দল একে বারে কাহিল। অবশেষে চিংড়ি তরকারি দিয়ে খাওয়া হলো সাথে ডাল আর সবজি। দেশি চিংড়ির স্বাদটাই ভিন্ন। খাবার শেষে ট্রলার ওয়ালাকে বিদায় দিয়ে রিকশায় চলে গেলাম বানরিপাড়া মাহেন্দ্র স্ট্যান্ড এ। যাবো গুঠিয়া মসজিদ ভাড়া ২০ টাকা করে। লোকাল বাসে গেলে ১৫ টাকা। গুটিয়া মসজিদটি যেমন বড় দেখতে অনেক সুন্দর। (গুটিয়া মসজিদ বেলা ১২ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত আর বিকাল ৪ টা থেকে খোলা থাকে) গুটিয়া মসজিদ থেকে চলে গেলাম দূর্গা সাগর ভাড়া মাহেন্দ্রতে ১০ টাকা করে। মাহেন্দ্রতে ৮ জন বসা যায়।
দূর্গাসাগর

দূর্গাসাগর এসে সবার জন্য টিকিট কাটা হলো।  প্রবেশ ২০ টাকা,  ৫ -১২ বছর বাচ্চা ১০ টাকা। দূর্গাসাগরের পরিবেশ খুবই মনোরম। এখানে রয়েছে হরিণ। আর সুবিশাল লেকে মাছ ধরতে সেন অনেকেই প্রতি ছিপ ১০০০ টাকা। দূর্গাসাগরে সবাই ফ্রেস হয়ে বিশ্রাম নিলো। কেই কেউ আবার মেতে উঠলো শিশুদের সাথে ফুটবল খেলায়। বিকাল ৫ টা যেতে হবে লঞ্চ টার্মিনালে  ২ টা মাহেন্দ্র রিজার্ভ করাহলো ২০০ টাকরে ভাড়া। টারমিনালে গিয়ে সবাই আবার এডভেঞ্চার-৯ এ। আর কেনোই বা অন্য পছন্দ আমরাতো এডভেঞ্চার প্রেমি। ডেকে যারা ছিলাম চললো কার্ড খেলা। সারারাত খেলাগেলো না কারন সবাই ক্লান্ত অনেক। একা জেগে রইলাম জীবনে প্রথম উপভোক করলাম লঞ্চের ডেকের মজা। নদী উত্তাল থাকায় সদরঘাট পৌছাতে ৫ঃ৩০ বাজলো প্রায়। সবাইকে পেছনে ফেলে আমাদের এডভেঞ্চার-৯। বিদায়ের পালা, সবার মন খারাপ। কিন্তু ক্লান্তি ও জীবিকার কাছে সবার হার মানতে হলো। তবে নতুন এক আশায় সবাই বিদায় নিলো ' আবার দেখা হবে কোন এক এডভেঞ্চারে। এডভেঞ্চার প্রেমিদের কোন বাধাই আটকাতে পারেনা। তাদের কোনপ্রেমই আটকাতে পারে না। পরিবার, জীবিকা, শারীরিক বাধা সকল কিছু জয় করতে পারে।

ভালো থাকবেন এডভেঞ্চার প্রেমিরা।

Tuesday, January 9, 2018

ফাইপি জলপ্রপাত

ফাইপি বান্দরবানের থাইকাং পাড়ায় অবস্থিত অন্যতম জলপ্রপাত। পর্যটকদের বেশ কয়েকটি রুট ব্যবহার করে সেখানে যেতে পারে, থানচি থেকে বা রুমা থেকে।

থানচি রুট ব্যবহার করে ফাইপি জলপ্রপাত

যাত্রীবাহী বাস বা বান্দরবান থেকে চান্দেরগাড়ি (জিপ) থানচি যেতে হবে। থানচি পৌঁছানোর জন্য প্রায় ৪ ঘন্টা ৩০ মিনিট সময় নিতে পারে। থানচি থেকে বান্দরবান মধ্যে দূরত্ব প্রায় ৭৯ কিলোমিটা। থানচি থেকে প্রথমে বোর্ডিং পাড়া পরে সেরকর পাড়া, বলকাই পাড়া এবং পরিশেষে থাইকাং পাড়া পৌঁছাতে হবে।

রুমা রুট ব্যবহার করে ফাইপি জলপ্রপাত

এছাড়াও আরেকটি রুট রুমা উপজেলা থেকে ফাইপি জলপ্রপাত যেতে পারে। তাই ভ্রমণকারীরা "চান্দের গাড়ি" (পাবলিক জীপ্), নিয়মিত বাস সার্ভিস বা ব্যক্তিগত বাহন দ্বারা বান্দরবান থেকে রুমা উপজেলা যেতে পারেন। চান্দের গাড়ি বা বাস সার্ভিস প্রায় ১০০ থেকে ১২০ টাকা নিতে পারে। পরিবহনের উপর নির্ভর করে ৩-৪ ঘন্টা সময় নিতে পারে। রুমা থেকে বগালেক, কেওক্রাডং এবং থাইকাং পাড়া পৌঁছাতে হবে।


Saturday, July 12, 2014

সীতাকুণ্ড বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্ক

সহস্রধারা

সীতাকুণ্ড বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্ক। বাংলাদেশের চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় অবস্থিত একটি বন্য প্রাণীর অভয়ারণ্য। চন্দ্রনাথ পাহাড়ের পাদদেশে ১৯৯৮ সালে এই বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। ৮০৮.০০ হেক্টর জমি নিয়ে এই বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্যটি গঠিত।
বোটানিকাল গার্ডেন ও ইকো পার্ক ঐতিহাসিক চন্দ্রনাথ রিজার্ভ ফরেস্ট ব্লক এর প্রকৃতি নিজের হাত দ্বারা সজ্জিত ও চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড খনন মধ্যে অবস্থিত যা চিরহরিৎ বন মধ্যে অবস্থিত।

পাহাড়ের উপরে চন্দ্রনাথ মন্দির, সিটি গেট, কত্তলি ও কুমিরা পিছনে ও ডান পার্শ্ববর্তী সীতাকুণ্ড বোটানিকাল গার্ডেন ও ইকোপার্ক হচ্ছে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের মাধ্যমে চট্টগ্রাম থেকে শুরু।
২ কিলোমিটার দক্ষিণে সীতাকুণ্ড খনন কেন্দ্র ও ফকিরহাট বাজারের পাশ দিয়ে এবং বোটানিকাল গার্ডেন ও ইকোপার্ক অবস্থিত। সাইনবোর্ড সঙ্গে একটি রঙিন গেট আছে পাশের বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকো পার্ক একটি প্রদর্শন মানচিত্র দেখুন, এখান থেকে আপনি পূর্ণ বিবরণ পেতে পারেন। চন্দ্রনাথ মন্দির জিপ, মাইক্রো অথবা সি এন জি অটোরিক্সা করে যেতে পারেন এখান থেকে ৫ কিলোমিটার পথ।

ইকো পার্ক শান্ত ও শান্ত পাহাড় দ্বারা সত্যিই কল্পনাপ্রসূত, হরিণ, ভল্লুক, বানর ইত্যাদি, কিচিরমিচির, প্রাকৃতিক বসন্ত ও চিরহরিৎ এরমত বিভিন্ন ধরণের প্রাণী পশ্চিমে সূর্যআস্ত, সন্ধ্যায় গোধূলি পরিবেশ। এই পরিবেশ তাই আশ্চর্যজনক।

নার্সারি: রাইট বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকো পার্ক প্রধান গেট পাশে, সেখানে একটি কেন্দ্রীয় স্থায়ী নার্সারি এবং তার অফিস। নার্সারিটির আরজান প্রজাতির মত বিদেশী ও বাংলাদেশী গাছপালা বিভিন্ন ধরণের (Dipterocarpus alatus), Telsur (Hopea odorata), Chapalish (আছে Artocarpus chaplasha), Chundul (Tetrameles nudiflora), কড়ই বা Moluccan Albizia (Albizia falcataria), জারুল (Lagerstroemia সুন্দর), টুন (Toona ciliata), জ্যাম (কালোজাম), জলপাই (Elaeocarpus robustus), বিভিন্ন ধরণের বৃক্ষ।

অর্কিড হাউস: বোটানিকাল গার্ডেন একটি অবিশ্বাস্য অর্কিড ঘর আছে. এখানে অর্কিড প্রায় ৫০ বা তার বেসই সুন্দর প্রজাতির গাছ আছে।

সহস্রধারা এবং সুপ্তধারা: পানির হাজারো সুন্দর স্রোতের সাথে মিলিয়ে তারা নামকরণ করা হয় সহস্রধারা।
বর্ষাকালে তার পরিপূর্ণ রূপ দেখা যায়। এখানে শীতকালে স্বল্প জল ধারা প্রবাহিত হয় সুপ্তধারায়।

পিকনিক কর্নার: বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকো পার্কে পানীয় জল এর পূর্ণ সুবিধা, বিশ্রাম ঘর ও পিকনিক জন্য টয়লেট আছে।

মহেশখালী

আধিনাথ এর মাজার
মহেশখালী বাংলাদেশের বিস্ময়কর পর্যটন স্থান। মহেশখালী তার সৌন্দর্য জন্য পরিচিত একটি দ্বীপ। আপনি মাছ ধরার নৌকা নামক স্থানীয় মোটরবোট দ্বারা বা বিদ্যুচ্চালিত দ্রুতগানী নৌকা দ্বারা এই দ্বীপে যেতে পারেন। মাছ ধরার নৌকায় যেতে সময় লাগবে এক ঘণ্টা ত্রিশ মিনিট। দ্রুতগামি বিদ্যুচ্চালিত নৌকা দ্বারা এটা এই দ্বীপ পৌঁছাতে মাত্র আধা ঘন্টার লাগে। আপনি ম্যানগ্রোভ বন, পাহাড়ী এলাকা, লবণ ক্ষেত্র ইত্যাদি কক্সবাজার উপকূল একটি দ্বীপে পাবেন। এলাকাটি বিস্তৃত ২৬৮ বর্গ কিলোমিটার। দ্বীপ এবং পূর্ব উপকূল রেখা বরাবর কেন্দ্রে ৩০০ ফুট উঁচু নিচু পাহাড়; কিন্তু পশ্চিম ও উত্তর উপকূলে ম্যানগ্রোভ জঙ্গল একটি নিচু আচরণ করে। পাহাড়ের চূড়ায় রয়েছে আধিনাথ এর মাজার, একই পাহাড়ের উপর তার পার্শ্বে বৌদ্ধ মন্দির নির্মিত হয়েছিলো। কক্সবাজার থেকে ঘুরে ফিরে আসা যাবে বিকেলের মধ্যে। মাছ ধরা ও জেলেদের জীবনধারা দেখতে পাবেনা সোনাদিয়ায় এবং কিছু অন্যান্য দ্বীপপুঞ্জ যদি দেখতে চান পুরো দিন ধরে দেখতে পারেন।


সাজেক ভ্যালী সম্পর্কে জানুন

সাজেক ভ্যালি বাংলাদেশের একটি উদীয়মান পর্যটন কেন্দ্র, যা রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সজকে ইউনিয়নের পাহাড়ছড়ি পাহাড়ের কাসালং পর্ব...